Posts

Showing posts from August, 2017

তোমাকে ঠিক চেয়ে নেব

১ . খুব মেঘ করে বৃষ্টি নামার আগে রাতের আকাশ যখন অফুরন্ত উল্লাসে নিজেকে লালচে রঙ্গে সাজায়, তখন মাঝেমাঝে আমার মনে অদ্ভুত একটি ইচ্ছে জেগে উঠে । বোকা বোকা একটি ইচ্ছে , কিন্তু আমার কাছে এই ইচ্ছেটি ভীষণ প্রিয় । রাতের মেঘলা আকাশ দেখলে আমার কেন যেন নির্জন একটি দ্বীপ কিনে ফেলতে ইচ্ছে করে । ইচ্ছেমত সবুজ আর নীলচে রঙ করা সেই দ্বীপটিতে শুধু আমার একলা রাজত্ব হবে । আমার অনেকদিনের ইচ্ছে , মাঝরাতের আকাশ ভেঙ্গে সেখানে যখন ঝুম বৃষ্টি নামবে , সেই বৃষ্টিতে আমি তখন দুরন্ত নদীর মত উল্লাসে মেতে উঠব । সেই বৃষ্টির আনন্দ থেকে বঞ্চিত করবার জন্যে কোন শাসনের জাল আমাকে বাঁধতে আসবেনা । আমার একলা দ্বীপে কেবল আমার মুগ্ধতায় মাখা বৃষ্টি বিলাস হবে । আর আমার সামনে থাকা ছোট্ট সমুদ্রতটে অবিরাম দুলতে থাকবে রঙ্গিন কোন পানসি , হতে পারে সেটি অনেক দুরের কোন দ্বীপাঞ্চল থেকে ভেসে এসেছে , হতে পারে সেটি কোন খেয়ালি রাজপুত্রের বিলাসী ভ্রমণসঙ্গী । হয়ত সেই পানসিতে উদাস নয়নে বসে থাকবে সেই ভীষণ সাহসী বৃষ্টিমুগ্ধ রাজপুত্র । আর উন্মত্ত বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থেকে আমি দেখব সেই রাজপুত্রের চুলের সাথে বাতাসের যুদ্ধ , বৃষ্টির ছিটেতে ঝাপস

দহন

হাতেখড়ি হয়েছিল সেই ছেলেবেলায়। এখনও স্পষ্ট মনে আছে। আগের দিন বিকেলে এক ঘুষিতে পাশের বাড়ির বেলায়েতের নাক ভেঙে বাড়ির পিছনে কবরখানায় লুকিয়েছিল সে। কিছুক্ষণ পর মশারা সদলবলে হামলে পড়ল তার উপর। আরও একটু পরে হাঁসেরা প্যাক-প্যাক করে ডাকতে ডাকতে দলবেঁধে ফিরতে শুরু করল যে যার বাড়িতে। অথচ তার বাড়ি ফেরার জো নেই। এতক্ষণে মা নির্ঘাৎ জেনে গেছে বেলায়েতের নাক ভাঙার কথা, বসে রয়েছে হাতে পাকা কঞ্চি নিয়ে, একবার ধরতে পারলে গায়ের হাড়-মাংস আলাদা করবে আজ। কবরখানার পুরোটা জুড়েই বাঁশবন। তারই ফাঁকে ফাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে জোনাকিপোকা। একবার জ্বলছে, একবার নিভছে। জ্বলতে নিভতে কয়েকটা চলে এসেছিল খুব কাছে, হাত বাড়িয়ে কয়েকটা খপাখপ ধরেও ফেলেছে সে এরইমধ্যে। এখন সেগুলো হাতের মুঠোয় বন্দী। এমন সময় লণ্ঠন হাতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখল কবরখানার দিকে। লণ্ঠনের অপর্যাপ্ত আলোতেও আবছা নারীমূর্তিটিকে চিনতে একটুও অসুবিধা হলো না তার। ও যে তার মা! মা’কে দেখে একবার ভেবেছিল ঝেড়ে দৌড় দেবে, পরক্ষণেই সিদ্ধান্ত বদলাল। দেখা যাক না কি হয় শেষ পর্যন্ত! একসময় লণ্ঠন এগিয়ে এলো খুব কাছে, মা’র গলা শোনা গেল, ‘বাজান, আমার কাচে আয় বাজান। আমি তোরে

একটি সাদামাটা প্রেমের গল্প

গল্পের শুরুটা সাধারণ। একসাথে পড়তাম ২জন।আলাদা ব্যাচ,প্রথম দেখা কলেজে,মিড টার্ম পরীক্ষার সময়।তার পর কথা শুরু।প্রথমে অল্প,আস্তে আস্তে বাড়ল। একদিন ফোন নাম্বারটাও পেলাম।তখন কথা হত পড়াশোনা নিয়ে,আমার অগোছালো ছাত্রজীবন আর তার সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।সে আমার সাথে মিশত শুধুই সাজেশানের জন্য।কিন্তু অন্য ছেলেদের সে যেমন ভাব দেখাত আমার সাথে ওই আচরণ পাইনি বলেই হয়ত ওর প্রতি আমার একটা মায়া ছিল।প্রেম তখনও অনেক দূর। HSC পরীক্ষা দেয়ার পর ও চলে গেল শহর ছেড়ে, আর আমি রয়ে গেলাম , তখনও কথা হত ফোনে,প্রায়ই আমার উদ্ভট গল্প শুনে ও খিলখিল করে হাসত,আমার বুকে অন্য রকম একটা অনুভূতি হত।বুঝলাম তাকে আমার ভাল লাগে,কিন্তু সে একদিন বলে যে তার কাউকে ভাল লাগে।খুব খারাপ লাগল,কেন নিজেই জানিনা।রেজাল্ট হবার পর হল আসল মজা,ওর রেজাল্ট খারাপ হয়ে গেল,ও প্রায় রাতে কাদত,আমি সান্তনা দিতাম,খুব খারাপ লাগত ওর কান্না শুনে।কিবা আর করতে পারি তখন,তাকে বলতাম সব ঠিক হয়ে যাবে। তারপর থেকে আমার সাথে সম্পর্ক টা আরও গাঢ় হল,কিন্তু তাকে বলতে পারতাম না ভালবাসার কথা,পাছে হারাতে হয় প্রিয় বন্ধুটাকে।তাই দূর থেকে ভালবাসতাম।ভর্তি পরীক্ষার